প্রচলিত একটি ধারণা হলো, নিয়মিত ভিটামিন সি গ্রহণ করলে সর্দি-কাশি হয় না। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ধারণাটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ১১,৩৫০ জন লোককে দৈনিক ২০০ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন সি সেবন করিয়ে ৩০ বার গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, ভিটামিন সি-এর কারণে তাদের সর্দি-কাশির খুব একটা উপশম হয়নি। তবে যারা খুব পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন তারা যদি নিয়মিত এই ভিটামিন খান তাহলে তাদের সর্দি-কাশির প্রকোপ অনেক কম হয়।

১৯৭০-এর দশকে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রসায়নবিদ লিনাস পলিং সর্দি ঠেকাতে লোকজনকে দৈনিক এক হাজার মিলিগ্রাম করে ভিটামিন সি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু এভাবে ভিটামিন গ্রহণ করে সর্দি-কাশি ঠেকানোর তেমন কোনো নজির দেখা যায়নি।

বর্তমানে চিকিৎসকদের পরমার্শ অনুযায়ী দৈনিক ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ শরীরের জন্য যথেষ্ট। তবে কারো কারো মতে, এই মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম হলেই ভালো। দৈনিক বিভিন্ন ফলমুল ও শাকসবজি খেলে এমনিতেই ভিটামিন সি’র এই চাহিদা পুরণ হয়। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ শরীরের জন্য উপকারী নয়। বেশি ভিটামিন শরীরে শোষিত হয় না। তখন এগুলো বর্জ্য আকারে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। অষ্ট্রেলিয়া ও ফিনল্যান্ডের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে।

সুত্র বিবিসি
দৈনিক আমারদেশ, ১৬ ডিসেম্বর ২০০৭